মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় জীবননগর পৌর শহরের হাসপাতাল পাড়ায় এ বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়।
এলাকাবাসী জানান, জীবননগর পৌর শহরের হাসপাতালায় পাড়ায় চুপিসারে আবুল হোসেনের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে লাবনী খাতুন (১৩) ও একই পাড়ার রবিউল হোসেনের ছেলে সাঈদ হোসেনের (২৭) সাথে বিাবাহের আয়োজন চলছিল। খবর জানাজানি হলে জীবননগর থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধু রক্তদান কেন্দ্রের সদস্যরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বাল্যবিবাহ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কোনো জরিমানা না করে মুচলেকা নেন এবং ভবিষ্যতে ১৮ বছরের নিচে যাতে মেয়েটিকে বিবাহ না দেওয়া হয় সে বিষয়ে মেয়ে ও ছেলের পরিবারকে নির্দেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি মেয়েটির লেখাপড়ার যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করেন তিনি।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার বেশ কিছু কাজী আছে যারা অতিরিক্ত অর্থের লোভে বিভিন্ন দোকান থেকে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে বাল্যবিবাহ দিয়ে থাকেন। তার মধ্যে খয়েরহুদা গ্রামের কাজি মাহবুবুল আলম শীর্ষে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খয়েরহুদা গ্রামের বাল্যবিবাহের স্বীকার এক স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, গত দুই বছর আগে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেন। আমি তখন ৮ম শ্রেণিতে পড়ি। আমার বিয়ের বয়স না হলেও কাজি মাহবুবুল আলম প্রশাসনিকভাবে যাতে কোনো সমস্যা না করতে পারে সে জন্য আমার বাবার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা বেশি নিয়ে বাজার থেকে একটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে বিবাহকার্য সম্পন্ন করেন।
তথ্যনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ইতোমধ্যেই কাজী মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে জীবননগর উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খয়েরহুদা গ্রামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্যবিবাহ পড়িয়ে থাকেন তিনি। এলাকার সুধী ও সচেতন মহলের দাবি- সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হলে ভুয়া কাজিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।